রমজানের সিয়াম সাধনায় আত্মিক উন্নতি ও পরকালীন মুক্তির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এক মাসের এই আত্মসংযম দুর্নীতিমুক্ত ও সুন্দর সমাজ গঠনের চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে।
ঢাকার ফার্মগেটস্থ বায়তুশ শরফ ইসলামি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে গত শুক্রবার আয়োজিত ‘সামাজিক উন্নয়নে রমজানের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই মতামত ব্যক্ত করেন।
আল আরাফা ইসলামি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুল মালেক মোল্লার সভাপতিত্বে এবং গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার সভাপতি মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিবিএম গ্রুপের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোল্লা গ্রুপের চেয়ারম্যান শহীদুল হক মোল্লা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবু নোমান ছফি উল¬াহ, হাসান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘রমজান শুধু আত্মশুদ্ধি নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নের এক বিশাল মাধ্যম। আদর্শ সমাজ গঠনে রমজানের শিক্ষাগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ইসলামিক ব্যাংকার্স কনসালটেটিভ ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘সুদীর্ঘ অতীত থেকে সুফিদের খানকাহ অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল। তাদের বহুমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে।’
ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল তার প্রবন্ধে রমজানের সিয়াম সাধনায় সামাজিক উন্নয়নের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘রমজানের শিক্ষাগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে সমাজের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে বায়তুশ শরফ মসজিদের খতিব মাওলানা জাফর আহমদ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।