দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪১ জনই বরিশাল বিভাগে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ( শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৪১ জন। গতকাল বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মারা যাওয়া এক বছর ৯ মাস বয়সী শিশু তোহা ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোহেলের ছেলে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এই মাসে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১৩৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ৩১২ জন, বাকি ৭৫১ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগ ছাড়াও চট্টগ্রামে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৪০ জন, ঢাকায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ১৮ জন, খুলনায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৬, ময়মনসিংহে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৬ জন এবং সিলেটে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৩ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন রোগী পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন এবং জুনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮ জন।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া পটুয়াখালীর একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪, ভোলা সদর হাসপাতালে ৩, বরগুনায় ৬৮ জন পিরোজপুরে ৯ জন ভর্তি হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় ২৪ ঘণ্টায় কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি। একই সময়ে ছয় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২১ জন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা বলা মুশকিল। কারণ, অনেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেই সংখ্যা আমাদের কাছে থাকলে সবাই বুঝত, ডেঙ্গু কত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।