কুমিল্লার তিতাসে সরকারি প্রণোদনার আওতায় পাওয়া ধানের বীজ ও সার ব্যবহার করে এবার ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুরের কৃষক গিয়াস উদ্দিন। তিনি ব্রিধান-৯২ জাতের ধান আবাদ করে এখন ফসল ঘরে তুলছেন। শ্রমিক সংকট থাকায় নিজেই ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। কালাইগোবিন্দপুরের কৃষক গিয়াস উদ্দিন জানান, এ বছর সরকারি প্রণোদনায় ধান বীজ ও সার পেয়েছি। এতে আমার খরচ অনেক কম হয়েছে। ব্রিধান-৯২ ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ বছরই প্রথম এ জাতের ধান আবাদ করেছি। আমি আশা করছি বিঘাপ্রতি প্রায় ৩৪ মণ ধান পাব। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ জানান, এই এলাকায় আগে ব্রি-ধান ২৮ ও ২৯ চাষ হতো। এতে ফলন একটু মোটামুটি ভালো হলেও রোগ ও পোকার আক্রমণ বেশি হতো। তবে কৃষক গিয়াস উদ্দিনকে প্রণোদনার আওতায় কৃষি অফিস থেকে ব্রিধান-৯২ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি প্রণোদনা এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন গিয়াস উদ্দিনের সাফল্য তারই বাস্তব উদাহরণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন, ব্রিধান-৯২ একটি উচ্চফলনশীল জাত। যা সময়মতো পরিচর্যা ও সঠিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে ভালো ফলন দেয়। গিয়াস উদ্দিনের এই সাফল্য অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে বলেও আশা প্রকাশ করছি।