দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সত্যমানডাঙ্গী গ্রামে কৃষক সাগর চন্দ্র দেবশর্মা প্রথমবারের মতো গুড অ্যাগ্রিকালচার প্রাকটিসেস (গ্যাপ) এর নীতিমালা অনুসরণে বিষমুক্ত আম চাষ শুরু করেছেন। ব্যানানা জাতের আম চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক সাগর চন্দ্র দেবশর্মা। তার সফলতা দেখে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার অনেক কৃষক। এই উন্নত জাতের আম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ।জানা যায়, সাগর চন্দ্র দেবশর্মা গত তিন বছর ধরে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’ চাষ করে আসছেন। কিন্তু এ বছর বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)’ প্রকল্পের আওতায় গুড অ্যাগ্রিকালচার প্রাকটিসেস (গ্যাপ) এর নীতিমালা অনুসরণে বিষমুক্ত আম চাষ শুরু করেছে। তার বাগানে ব্যবহার করা হয়েছে সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, ফল ব্যাগিং, জৈব বালাইনাশক এবং পুরো বাগান নেটিংয়ের মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়েছে। ফলে কোনো রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়াই আম উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।কৃষক সাগর চন্দ্র দেবশর্মা বলেন, গত তিন বছর আম ফলনের সময় প্রচুর পরিমাণে স্প্রে করতে হতো এতে আমার খরচও বেশি হতো। কিন্তু বেশি আমের ফলন পেতাম না। এ বছর আমি বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতা ও নীতিমালা অনুসরণে বিষমুক্ত আম চাষ শুরু করেছি। এতে করে আমার খরচও কম হয়েছে এবং আমের ফলনও বেশি হয়েছে। আমি আশা করি যে গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি আয় হবে। এই পদ্ধতিতে আম চাষ করে যেমন খরচ সাশ্রয়ী, তেমনি স্বাস্থ্যকরও। বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, আমরা দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় গুড অ্যাগ্রিকালচার প্রাকটিসেস (গ্যাপ) নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন ফল ও সবজির প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ব্যানানা ম্যাংগো জাতের আমটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও রফতানিযোগ্য। প্রতিটি আমের গড় ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। আশা করছি এই কৃষি উদ্যোক্তা ‘ব্যানানা ম্যাংগো’ আবাদ করে লাভবান হবে।