কুষ্টিয়ায় পটোল চাষে জাহাঙ্গীর আলমের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। জাহাঙ্গীর আলম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। চলতি মৌসুমে পটোল চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই পটোল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, কয়েক বছর আগেও কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। তবুও তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে পটোল চাষবিষয়ক পরামর্শ এবং পটোল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নিজের এক বিঘা জমিতে পটোল চাষ করে অভাবের সংসারে এনেছে সচ্ছলতা, হয়েছেন স্বাবলম্বী। কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন তার ভাতিজা তিতুমীর ও রাজিবুলকে সহযোগী হিসেবে সব সময়ই তার পাশে রাখেন। সরেজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর তার দুই ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে পটোল তোলায় ব্যস্ত। আরও একজন শ্রমিক পটোল ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। পটোল চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার এক বিঘা জমিতে পটোল চাষে শ্রেণিভেদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদিত পটোল বিক্রি করে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। সপ্তাহে দুই দিন প্রায় ৪ মণ পটোল তোলা হয় ক্ষেত থেকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই পটোল নিয়ে যায়।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার মিরপুর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে পটোলের চাষাবাদ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের পটোল চাষের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কৃষক জাহাঙ্গীর বারি পটোল-১ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আশা করছি, অন্য কৃষকরা তা দেখে আগ্রহী হবেন।