ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

তালায় আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষে সাফল্য

তালায় আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষে সাফল্য

উৎপত্তি সেন্ট্রাল আমেরিকায় হলেও বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের সর্বাধিক চাষ হয় ভিয়েতনাম ও চায়নায়। ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর সাদৃশ্যের কারণে দিন দিন বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন চাষ। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় ড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেকে। তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুমের ড্রাগনের খেত। মাসুম বলেন, প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ৭ বিঘা জমিতে অত্যাধুনিক পাইপ লাইনে বসিয়ে চাষাবাদ শুরু করি। ১৭ হাজার ড্রাগনের চারা লাগানো হয়েছে আমার খেতে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পাঁচ প্রকারের ড্রাগনের জাত রয়েছে এখানে। জাতগুলো হলো- পিং রোজ, ইয়োলো, মরক্কান রেড, আমেরিকান ও দেশি। চলতি বছর ৩০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে প্রত্যাশা মাসুমের। মে থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা ফল মেলে গাছ থেকে। মাসুম আরও বলেন, আমার ড্রাগন ক্ষেতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে অনেকের। তাছাড়া আমার বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন ড্রাগন ফলের বাগান করতে। ড্রাগনের রোগ-বালাই কম হয় এবং রাসায়নিক সার কম লাগে। তাই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, এই ফল চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে চাষিরা আরো বেশি আগ্রহী হবেন। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বছর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে চলতি বছর ২২ হেক্টর জামিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত