ঢাকা রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সেরা একশ’র সন্ধানে

সেরা একশ’র সন্ধানে

‘এতদিন আমরা কাজ করেছি স্বাবলম্বি হতে। এখন কাজ করব এশিয়াডের পদক পুনরুদ্ধারে’, তারুণ্যের উৎসবে কাবাডির চূড়ান্ত পর্বকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার বিওএর ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেন সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। অর্থ আর চাকচিক্যে হারিয়ে গেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও জাতীয় খেলা কাবাডির মান। গত সাত বছর আশার বাণী শোনালেও তা ছিল ফাকাবুলি। যা প্রমাণ করে দুর্বল চাইনিজ তাইপে এবং নেপালের কাছেও নিয়মিত হারা। কতটা নেমেছে দেশের কাবাডি। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পাইপলাইন হিসাবেই নাকি বেছে নেয়া হচ্ছে তারুণ্যের এই উৎসবকে। গত ২০ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল যুব কাবাডি (অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা) প্রতিযোগিতা। ৬১ জেলাকে আটটি অঞ্চলে বিভক্ত করে খেলা শুরু হয়। যেখানে ৩৩৯ উপজেলার ৫২৯টি দল অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে বালকদের ৩৩১ এবং বালিকাদের ১৯৮টি দল ছিল। এবার চূড়ান্ত পর্বের পালা। আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি পলটনের আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্ব।

যেখানে মধুমতী, তিস্তা, ধানসিঁড়ি, ব্রহ্মপুত্র, রূপসা, সুরমা, পদ্মা ও কর্ণফুলী অঞ্চলের প্রতিযোগিতায় বালক ও বালিকা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ৩২টি দল খেলবে। এখান থেকেই ১০০ জন বালক ও বালিকাকে বাছাই করে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা হবে বলে জানান সোহাগ। তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ১০০ জন বালক ও বালিকাদের বাছাই করে ভালো মানের কোচ দিয়ে অনুশীলন করাবো। তাদের জন্য নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা পোল্যান্ড থেকে ফিজিও আনার চেষ্টা করা করব।’ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ কাবাডি ম্যাচ খেলে উন্নতির ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে চান সোহাগ। তবে এই উৎসবের মধ্যেও জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কিছু পাতানো কাবাডি খেলা নিয়েও অভিযোগ দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত