জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে পথমদিনে কাতা ইভেন্টে নিজেদের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। এই জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই তিনটি গেমসের জন্য কারাতেকা নির্বাচন করা হবে। কাতায় খেলতে আসার রুইতুম ¤্রাে বলেন, ‘এটাই আমাদের সেরা নৈপূণ্য প্রদর্শনের মঞ্চ। তাই নিজেদের সেরাটা দিয়েই ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করছি। যাতে তিনটি গেমসের একটিতেও অন্তত দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।’ সৈয়দা সরফ আঞ্জুমের কথাও একই, ‘আমিও বিদেশের গেমস থেকে দেশের জন্য কিছু বয়ে আনতে চাই।’ ২-৬ জুলাই শ্রীলংকার কলম্বোতে দক্ষিণ এশীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ, ৭-২১ নভেম্বর সৌদি আরবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং ২৩-৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে দক্ষিণ এশীয় গেমসের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে। এই গেমসের কারাতে নির্বাচন করতেই প্রায় সাড়ে সাতশ’ কারাতেকাদের নিয়ে বৃহৎ এই আসরের আয়োজন করেছে কারাতে ফেডারেশন।
ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের কথা, ‘আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কারাতেকা এবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছে। আসরে নেপাল এসএ গেমসে তিনটি স্বর্ণপদক জেতায় আগ্রহ বেড়েছে ছেলে মেয়েদের মধ্যে। সামনেই কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ, ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ও এসএ গেমস। বড় তিনটি গেমসকে সামনে রেখে সবাই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে এসেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ইসলামিক সলিডারিটি ও এসএ গেমসের আগে বিদেশি কোচের কথা ভেবেছি। কিন্তু তাদের এখানে আনতে গেলে অনেক খরচা দিতে হবে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় চার লাখ টাকা) তাই খরচ কমাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কারাতেকাদের বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছি। আমাদের ইচ্ছা এই দুটি গেমসের আগে ইরানে পাঠিয়ে ছেলে মেয়েদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়াব। মূলত এসএ গেমসে স্বর্ণ ধরে রাখাই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য।’