ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশে হবে ফিফা একাডেমি

বাংলাদেশে হবে ফিফা একাডেমি

বাফুফের নতুন কমিটি আবার ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমি গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ফিফার অর্থায়নে এই একাডেমি প্রজেক্টে আগ্রহের কথা আর্সেন ওয়েঙ্গারকে জানিয়ে এসেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেছন, ‘প্রত্যেক দেশ এই একাডেমির জন্য আবেদন করতে পারে, তবে টিডিএস কমিটি রাজি হলেও চূড়ান্ত সম্মতি দেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। তার কাছে আমি কমিটমেন্ট করেছি গত ফিফা কংগ্রেসে। আমরা আবেদন করব এবং প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে আমাদের। আশা করি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমির চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব।’ এই প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক নাম হলো ‘ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম’। এর অধীনে ফিফা আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫টি ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমি গড়বে বিভিন্ন দেশে।

ভারতের ভুবনেশ্বরেও এরকম একটি একাডেমি তৈরি করে দিয়েছে ফিফা। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে বাহরাইনও নিয়েছে ফিফার এলিট একাডেমির সুবিধা। ফিফার অর্থায়নের পাশাপাশি তাদের গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের তত্ত্বাবধানে চলবে এই একাডেমি। এর আগে ২০১২ সালে একাডেমি গড়বে বলে ফিফার ৭ লাখ ডলার অনুদান নয়-ছয় করেছিল বাফুফে। সিলেট বিকেএসপিকে ফুটবল একাডেমিতে রূপ দিয়ে কিছুদিন চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।

তবে তাবিথ আউয়ালের কমিটি ফিফার এই এলিট একাডেমি গড়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর আগে বাফুফে সভাপতি চাইছেন ফুটবল সেন্টার অব এক্সেলেন্স-এর একটা সুরাহা করতে, ‘আমাদের তো আগেই একটা ফুটবল সেন্টার করার প্রজেক্ট দিয়েছে, যা কক্সবাজারে হওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবে ওটা নিয়ে আগে আমাদের চিন্তা করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সুরাহা করতে না পারলে ওই প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যাবে। কথা দিচ্ছি, এটা বাতিল হবে না, তার আগেই এটা কার্যকর করব।’

গত শনিবার মিট দ্য প্রেসে বাফুফে সভাপতি বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। দেশি-প্রবাসী মিলিয়ে এখন বাংলাদেশ দলের এক নতুন চেহারা দাঁড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সর্বশেষ জাতীয় দলে ছিলেন ৬ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার, খেলেছেন ৫ জন। জাতীয় দলে দেশি ও প্রবাসীর এই মিশ্রণের ব্যাপারে কোনো অনুপাত আছে কি না- এমন প্রশ্নে তাবিথ বলেছেন, ‘ক্রেডিট তো কেউ দিতে চায় না, তবে ফিফার মিনিটসে আমার নাম লেখা আছে আশা করি। কারণ ২০১৬ সালে কম্বোডিয়ায় ফিফা কংগ্রেসে আমার এক প্রশ্নের ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন এক দেশের নাগরিক হয়ে লিগ খেলছে আবার পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশের জাতীয় দলে খেলছে। এখন অনেক লিগে দেখবেন বিদেশি খেলোয়াড় বলে কিছু নেই, কোটা প্রথা নেই। আমরা বিদেশি লিগে খেলা বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে খেলাচ্ছি, মনে হচ্ছে প্রবাসী ফুটবলার খেলছে। সামনে আর প্রবাসী বলে কিছু থাকবে না, যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ফুটবলার জাতীয় দলে খেলতে পারবে। কারণ এই ইস্যুটাকে ফিফা-এএফসি যেভাবে প্রমোট করছে, এখন পাসপোর্ট থাকলেই জাতীয় দলে খেলতে পারবে।’ সিঙ্গাপুর ম্যাচ হারার পর বাফুফে সভাপতি আট মাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এই ম্যাচ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। মানুষের উন্মাদনা যেমন তুঙ্গে ছিল, তেমনি টিকিট নিয়ে হাহাকার ছিল। ভালো-মন্দ দুটোই হাত ধরাধরি করে এগোচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতাও হচ্ছে। তাই হয়তো বাফুফে বুঝতে পারছে, ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জয়টা সিঙ্গাপুর ম্যাচে কোনো কাজে আসেনি।

বাফুফে সভাপতি এজন্য বলছেন শক্তিশালী দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা, ‘প্রীতি ম্যাচের ক্ষেত্রে আমাদের ভাবনা আরও শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলা। তাতে দল আরও উন্নতি করতে পারে। এখন আমরা এশিয়ান কাপের জন্য লড়াই করছি। ভবিষ্যতে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার আসবে, বিশ্বকাপ বাছাই আসবে, সেক্ষেত্রে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ওই মানের দলের বিপক্ষে খেলতে হবে।’ সরকারের কাছে আরও ৬টি স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য চাইবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তাবিথ। এছাড়া বাফুফে সভাপতি ক্রীড়া সরঞ্জামের ট্যাক্স ৩৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত