ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঢাকায় দশ জাতির আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ

ঢাকায় দশ জাতির আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ

প্রথমবারের মতো ঢাকায় হতে যাচ্ছে দশ জাতির আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট। নাম ‘১ম সিএএস আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ২০২৬’। আগামী ২ জানুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে শুরু হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। এ লক্ষ্যে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে হয়ে গেলো ট্রফি উন্মোচন। হলঘরজুড়ে ছিল ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখদের সরব উপস্থিতি। ট্রফি উন্মোচনের মুহূর্তে করতালিতে স্পষ্ট ছিল দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক স্কোয়াশকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও আত্মবিশ্বাস। ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, হংকং, কুয়েত, বাহরাইন, জাপান, মিশর, বেলজিয়াম ও বাংলাদেশ, এই দশ দেশের ২৪ জন বিশ্ব র‍্যাংকধারী পেশাদার খেলোয়াড় অংশ নেবেন টুর্নামেন্টে।

প্রথমবারের মতো সেনাপ্রধানের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন একাধিক পরিচিত বিশ্ব র‍্যাংকিং খেলোয়াড়। ভারতের ভেলাভান সেনথিকুমার (র‍্যাংকিং ৪৭), পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম খান (৭০), মিসরের ইয়াসিন শোয়াদী (৮৫), মালয়েশিয়ার আমিসেনরাজ চন্দ্রআরন (৮০) ও ডানকান লি (৯৫), হংকংয়ের চি হিম ওয়াং (৯৭), জাপানের টমোটাকা এনডো (১০৬) ও নওকি হেয়াসি (১৪০), নামগুলোই টুর্নামেন্টের মানের ইঙ্গিত দেয়। অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিলা দলসহ পর্যাপ্ত খেলোয়াড় ও কোচ তৈরি, নিয়মিত দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং নিজস্ব কমপ্লেক্স গড়াসহ দশটি লক্ষ্য নিয়ে নেওয়া আমাদের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০২৫’ এ বছর শেষ হচ্ছে। সীমিত সম্পদ ও নিজস্ব খেলার স্থান না থাকা সত্ত্বেও আমরা নয়টি লক্ষ্য এরইমধ্যে অর্জন করেছি। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই উন্নয়নের ধারাকে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নেওয়া।’ গতকাল ট্রফি উন্মোচনের পাশাপাশি ইরানের মোহাসিন জাভেদ এবং পাকিস্তানের আব্দুল বাসেত এই দুই বিদেশি কোচের পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়। স্কোয়াশ ফেডারেশন জানিয়েছে, স্থগিত হওয়া এসএ গেমসকে সামনে রেখেই নয়, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করে গত তিন বছর ধরে ছেলে ও মেয়ে জুনিয়র স্কোয়াশ খেলোয়াড় তৈরির কাজ চলেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নিজস্ব খেলার স্থান ও সীমিত সম্পদের মধ্যেও ‘ভিশন ২০২৫’ নামের পাঁচশালা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিক কোচিং ক্যাম্প, কোর্স, ক্লিনিক, ওয়ার্কশপ এবং দেশি-বিদেশি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন।

‘ক্লাসরুম স্কোয়াশ’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্কোয়াশকে অভিজাত পরিসর থেকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টাও তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত