ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা থামাতে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে হঠাৎ এক সামরিক অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর প্রধান, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও রয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে পরদিন শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে পাল্টা মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এই হামলা শুরুর পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও শীর্ষ মন্ত্রীদের নিয়ে একটি গোপন বাংকারে আশ্রয় নেন। ইরানের ছোড়া মিসাইলের কয়েকটি তেল আবিবে সরাসরি আঘাত হানায় অন্তত ৪৮ জন আহত ও এক নারী নিহত হন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এই প্রেক্ষাপটে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা—দুই পক্ষই যথেষ্ট করেছে, এবার থামার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, শান্তি ও কূটনীতির জয় হোক।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করলেও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তেজনা হ্রাসে সক্রিয় ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
চলমান এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান আসলেও সংঘাত কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তা এখনও অনিশ্চিত।