অনলাইন সংস্করণ
১৯:২৪, ২৭ মে, ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে থেকে আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এসব অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে এবং কিছু সম্পদ ইতোমধ্যে জব্দ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, “অর্থ ফেরাতে পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দেশের বাইরে যারা টাকা পাচার করেছে, তাদের শনাক্ত করতে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়িক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রযোজ্য আইন ও বিধিমালাও সংশোধন করা হবে।”
এ সময় তিনি দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে বলেন, “ছয়টি দুর্বল ব্যাংককে একটি নতুন সরকারি নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে গ্রাহকের অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং নতুন বিনিয়োগকারীও আনার চেষ্টা চলবে।”
দুর্বল ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে:
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL)
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
ইউনিয়ন ব্যাংক
এক্সিম ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংক
অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ১৭,৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২২.৯৬% বেশি। এসব লেনদেনের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সিআইডির কাছে (৬৮টি), এরপর দুদক (২৫টি) এবং এনবিআর (১২টি) এর কাছে।
এইসব তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গভর্নর আহসান মনসুর দেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আহ্বান জানান এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ব্যবসায়িক কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়েও আশ্বাস দেন।
