অনলাইন সংস্করণ
১৫:৩১, ০৩ জুন, ২০২৫
সরকার ঘোষিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাজেটের একটি বড় অংশ প্রশাসনের ব্যয় ও সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হলেও, সাধারণ জনগণের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য কিছু রাখা হয়নি। তার মতে, এই বাজেট দরিদ্র মানুষের জন্য নয়, বরং কালো টাকার মালিকদের সুযোগ করে দেওয়ার আরেকটি উদাহরণ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যথাযথ বরাদ্দ না থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তার অভিযোগ, বাজেট ঘোষণাকারী অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই এবং তারা এখনো সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের সময়সীমা জানায়নি। তিনি মনে করেন, বাজেটের মাধ্যমে জনগণের ওপর আরও চাপ বাড়বে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য।
বিএনপির এই নেতা আরও দাবি করেন, ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতার বিপরীতে বিএনপির শাসনামলে মানুষ মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারত। বর্তমানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে এবং বিরোধীদের দমন করতে আইনি অপপ্রয়োগ চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আলোচনায় উঠে আসে জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রসঙ্গও। রিজভীর ভাষ্য, দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার সময় জিয়া জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, খাল খনন, কৃষিঋণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জিয়াকে একটি যুগের রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যিনি দেশের আত্মনির্ভরশীলতার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সঞ্চালনা করেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
