ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নুরের ওপর হামলায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না: সরকারের বিবৃতি

নুরের ওপর হামলায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না: সরকারের বিবৃতি

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে, এই হামলায় জড়িতদের প্রভাব বা অবস্থান যাই হোক না কেন তারা জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না বলেও জানানো হয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিবৃতিটি পোস্ট করেছেন।

বিবৃতিতে সরকার জানায়, ‘‘বাংলাদেশের জনগণের প্রজাতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন বিশিষ্ট নেতা, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার নিয়ে নিরলস সংগ্রামী নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা শুধু জনাব নূর-কে লক্ষ্য করে করা হয়নি, বরং এটি ওই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি আক্রমণ, যা জাতিকে একত্রিত করেছিল ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য তার ঐতিহাসিক সংগ্রামে।’’

‘‘বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, এই জঘন্য ঘটনার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। কোনো ব্যক্তি, তার প্রভাব বা অবস্থান যাই হোক না কেন, জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। ন্যায়বিচার স্বচ্ছভাবে ও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।’’

‘‘এ মুহূর্তে, জনাব নূর এবং তার দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকার তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি তাদের অবস্থা প্রয়োজনীয় হয়, তবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে। এই সংকটকালীন সময়ে নুর, তার দলের আহত সদস্য ও তাদের পরিবারের প্রতি জাতির প্রার্থনা এবং সমর্থন রইল।’’

‘‘জনাব নূরুল হক নূর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি যুবক সমাজকে সংগঠিত করেছিলেন, ন্যায্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন মতামতকে একত্রিত করেছিলেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গ্রেফতার হয়ে নির্যাতিত হয়েছিলেন, যেখানে তার ভূমিকা আমাদের জনগণের স্বাধীন, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তার সাহস এবং ত্যাগ চিরকাল বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।’’

‘‘এই মুহূর্তে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানায়। এই ঐক্য আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনগণের ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং সফলভাবে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপরিহার্য।’’

‘‘শেষে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে পুনরায় নিশ্চিত করে যে, জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনগণের প্রতি এক ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন বিলম্বিত বা পেছানোর জন্য যে কোনো ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা বা প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণের পক্ষ থেকে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত হবে এবং কোনো অপশক্তি আমাদের গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।’’

সরকার,গণঅধিকার পরিষদ,নুরুল হক নুর,হামলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত