কাব্যকথার যে উষ্ণতায় তুমি বেঁচে থাকো,
বাঁচিয়ে রাখো- তার কবোষ্ণ ছোঁয়ায়
সেথা গড়ে উঠছে এক প্রশান্ত পৃথিবী।
সহসা হাঁটু-কোমর ব্যথায় জমে ওঠে যে গল্পের ভার
সবই তো সঞ্জীবন, সবই যে সুধা হবে তার
একাকিত্বে তোমাকে সঙ্গ দেবে সে
নিভৃতি হতে পারে না শাস্তি তোমার।
সূচিত হোক না— নতুন এক প্রতিধ্বনি
পায়ে পায়ে সুদূর গন্তব্যে পথ চলার!
বয়সের ছাপে লেখা কোনো অভিজ্ঞতায় নয়
কুঁচকে যাওয়া ত্বকের ইতিহাস ফলকেও নয়;
চিন্তনে ও যাপনে জীবন যেখানে চিরসবুজ
শরীর-মন ক্লান্ত হবে না যেখানে তোমার
খুঁজে পাবে তুমি একান্ত প্রশান্তিসম্ভার।
ওখানে জীবন স্নিগ্ধ-সুন্দর-অনাবিল
আত্মজ-বন্ধনের দ্বিধাচিত্তে অভাবিত সংযোজন?
একদমই সে তো তুমি নও
নও তুমি অগ্রন্থিত কবিতাখানি
কবি, তুমি এক সম্পূর্ণ কাব্য-সরোবর
তোমার শব্দণ্ডশিহরণে আছে বাঁচার অমৃত সুখ,
আমার প্রতিটি কাপের ধোঁয়া ওঠা চায়ে সেই মায়াবী গল্পমুখ
চুমুকে চুমুকে যেথা উষ্ণতা পায় প্রতীক্ষিতের তৃষিত প্রহর।
হয়তো একদিন সাথীয়-সেতুর উদ্বোধনে
ভেঙে যাবে অযাচিত সব মানবদেয়াল
অনায়াসে কেটে যাবে সমূহ-আশঙ্কার বিষণ্ণ মেঘ
গল্প-কবিতার কবোষ্ণ ছোঁয়ায় জীবন যেখানে উদযাপন-উম্মুখ
সেখানে কারও জীবনের বোঝা হবে না তুমি কোনোদিন
দেখে নিও, প্রণয়ের বৃক্ষ-বীজ একদিন হয়ে উঠবে মহীরুহ
সায়াহ্নালোকে রচিত সে অধ্যায় টইটুম্বুর সমানুভূতি-ভাস্বর।