ক্ষত সৌন্দর্য নিয়ে চণ্ডালী আমি ভুমিচারণ করি বেতস তলায়,
রাতারাতি নিশিমুখ পাইনি; কেবল উন্মুখ হয়েছি নিশি দর্পণে
পেয়েছিলাম ঝুলকালি মাখা একটি হিমঘর খানাবাড়ি
সেখানে এখন শুধু জং-ধরা লোহার বসবাস।
একদা মাটির ঢিবিতে কার্তিকের কুরুক্ষেত্র লেগেছিল;
অসময়ের নাজাত ফয়সালায়।
পয়গম্বর থেকে পাওয়া ঘর তাহলে কী এমনই হয়!
সময়ের ছায়া চিলেকোঠা ডিঙিয়ে মাটির পিঞ্জিরায় পৌঁছে
চৌহদ্দি মাড়িয়ে মেঠো পথের দীঘল আয়নায় নিজেকে দেখি
সে যেন ছিল নাজাত পীর এ কামেল।
অন্দরে প্রান্তজনের কথা কিংবা অম্বরে রূপালি ঘোড়া
বহু দ্রুপদের পুরোহিত বিমর্ষের স্তাবক,
ক্রোধের ঘৃণা হয়তো নেই
তবে বেলাবেলির অহম নিয়েই বেঁধে থাকি,
কারণ হার-জিতের পালাবদলে জীবন খুঁইয়ে দিতে পারি
কিন্তু ঠুনকো ভাঙা-গড়ার সমাজকে নয়।