ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাঙামাটিতে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে ২০ হাজার মানুষের বসবাস

রাঙামাটিতে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে ২০ হাজার মানুষের বসবাস

রাঙামাটির পাহাড়ি পাদদেশে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ছায়ায় জীবন কাটাচ্ছেন। বর্ষার শুরুতেই জমে ওঠে এক অনিশ্চয়তাএ কখন যেন ভয়াবহ পাহাড় ধসের কবলে পড়ে না তাদের পরিবার, তাদের ভবিষ্যৎ। গত কিছু বছর ধরেই রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের কারণে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুন কাপ্তাইয়ে ভয়াবহ এক ধসে ১২০ জনের মৃত্যু হয়, যা রাঙামাটির জন্য এক কালো অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নানিয়ারচর ও কাপ্তাইয়ে আবারও প্রাণহানি ঘটেছে। রাঙামাটির পাহাড় ধসের পেছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পাহাড় কাটা, নিয়ন্ত্রণহীন বসতি বৃদ্ধি এবং বৃষ্টির পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া। বৃষ্টির সময় পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে সহজেই ধসে যেতে পারে, যা নতুন ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। অধিকাংশ মানুষ নিম্নআয়ের, দিনমজুরি বা ক্ষুদ্র ব্যবসা করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের জন্য পাহাড়ি এলাকায় থাকা একমাত্র বিকল্প, কারণ শহর কিংবা নিরাপদ অন্য কোনো জায়গায় পাড়ি জমানোর সুযোগ নেই। শিমুলতলী এলাকার লোকমান হোসেনের মতো মানুষ জানেন ঝুঁকি, কিন্তু বিকল্প নেই বলেই তারা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশেই দিন কাটান। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বর্ষার আগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে- আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, মাইকিং, তালিকা প্রস্তুত ও উচ্ছেদ অভিযান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত