ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ

মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ

আবহাওয়া ভালো থাকায় যশোরের কেশবপুরে এ বছর প্রচুর পরিমাণে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করায় ছড়াচ্ছে মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ। বর্তমানে কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি বাড়ি ও আম বাগান আমের মুকুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে।

উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হরেক রকমের সুস্বাদু আমের চাষ। আমের মাসের স্বাদ নিতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধু মাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় চলতি বছরে আম চাষ হয়েছে প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মজিদপুর, সাগরদাঁড়ি, পাঁজিয়া, মঙ্গলকোট, সুফলাকাটি, ত্রিমোহিনী ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে বেশি আমের বাগান রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকা ও আমের ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরেই আবাদ বাড়ছে।

আমের উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় এ জন্য কৃষি বিভাগ থেকে আম চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে আমরুপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, হিমসাগর, থাই, গোপালভোগ, বারি ১০, দেশি, বেনারসি, সিতাভোগ ও বোম্বাই জাতের আম আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হিমসাগর, ফজলি, আমরুপালি ও ল্যাংড়ার চাহিদা বেশি। উপজেলার বেলকাটি গ্রামের আলমগীর বাগান মালিক জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আম গাছে মুকুল আসার আগে পোকা দমনের জন্য চাষিদের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলার অধিকাংশ আম গাছে মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত