দেশের উত্তরবঙ্গের কৃষিভিত্তিক জেলা কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখনও নিয়মিতভাবে বসছে সাপ্তাহিক হাট। জেলার পুরোনো ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয় এ সকল হাটের ব্যাপক বেচা-কেনা, স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতি এবং তাদের প্রাণচঞ্চলতা। কুড়িগ্রামের গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহুল পরিচিত হাটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তালিকায় রয়েছে- যাত্রাপুরহাট, পাঠেরশ্বরীরহাট, নয়ারহাট, যতিনেরহাট, কালিরহাট, মন্ডলেরহাট, মোল্লারহাট, বুড়া-বুড়িরহাট, পাচগাছীরহাট, ভেলুরহাট, কাঠালবাড়িরহাট, রাজারহাটের সাপ্তাহিকহাট, নয়া বাজারেরহাট, চৌমহনিরহাট, আলামিন বাজার, নুন খাওয়ারহাট, শুলকুর বাজার, ঘোগাদহেরহাট, নারায়ণ পুরেরহাটসহ আরও অনেক হাট ও বাজার। এসব হাটে প্রতি সপ্তাহে ক্রয়-বিক্রয় হয় বিপুল পরিমাণ অর্থের নানান জাতের পণ্য ও মালামালের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে যত্রতত্র কম দামে মিলছে দেশি হাঁস, দেশি মুরগি, দেশি গরু, ছাগল, চিনাবাদাম, তিল, তিশি, বাদাম, বুট, মসুরের ডাল, খেসারির ডাল, গুজি, সরিষা, গুড়, গম, ধান, মাসকালাই, বিভিন্ন জাতের মসলাসহ হরেক রকমের নদী-খাল-বিলের মাছ ও নানান জাতের শাকসবজি। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক সারা জাগানো এ সব হাট-বাজারগুলো শুধু কুড়িগ্রামেই নয় বরং বাংলাদেশের সামষ্টিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।