রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত তিনটি পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন। তিনি জানান, প্রবাসী আল আমিন হত্যা মামলায় পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার দু’জনকে গত রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- গোবিন্দপুর গ্রামের রুবেল মন্ডল ও শাকিল সরদার। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের রাখালগাছি এলাকায় আল আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আল আমিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন এবং সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার ধাড়াই গ্রামের মোন্তাজ সরদারের ছেলে মেগা সরদার, একই উপজেলার চক আব্দুল শুকুর গ্রামের নায়েব আলী ফকিরের ছেলে জুয়েল রানা ও কমরপুর গ্রামের আলো মৃধার ছেলে ঠান্ডু মৃধাকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে রুবেল মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এদিকে চরমপন্থি নেতা সুশীল কুমার সরকার হত্যা মামলায় গত রোববার সকাল ৮টার সময় মো. রুবেল শেখ নামের এক যুবককে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সুশীল কুমারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও চারজনকে পুলিশ এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বরাট চরকাচরন্দ গ্রামের মৃত সালাম শেখের ছেলে তোফাজ্জেল শেখ ওরফে তোফা, মৃত মজিবর শেখের ছেলে লোকমান শেখ, মৃত আ. জব্বার শেখ ওরফে দোয়াত শেখের ছেলে আশিকুল শেখ ওরফে ভাসান শেখ ও কালাম মোল্যার ছেলে জনি মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরেকটি ঘটনায় চরমপন্থি নেতা শহিদ মোল্লা হত্যা মামলায় গত রোববার খাইরুল মন্ড নামের একজনকে পাবনার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।