
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন সময়ে চেক জালিয়াতির করে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর অনুপ চন্দ্র দাশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
গত রোববার অনুপ চন্দ্র দাশকে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও ইউএনও গালিব চৌধুরী। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে সিএ অনুপ অনুমোদনহীন অনুপস্থিত। ইউএনও গালিব চৌধুরী জানান, সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেয়ে তিনি সিএ অনুপ এর কাছ থেকে কৌশলে আত্মসাত করা ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে সরকারের তহবিলে জমা দিয়েছেন। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছেন। জানা যায়, রাজনগর উপজেলা পরিষদ থেকে বদলি হয়ে ৬ আগস্ট বড়লেখা উপজেলা পরিষদে যোগদান করেন সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর অনুপ চন্দ্র দাশ। যোগদানের তিন মাসের মধ্যে ১১টি চেকে সোনালি ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইতোপূর্বে জেলার রাজনগর উপজেলা পরিষদে কর্মরত থাকাকালে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাদশা মিয়ার নেতৃত্বে অনুপ চন্দ্র দাশ চেক জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের সাধারণ তহবিলের ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫৫ টাকা, রাজস্ব তহবিলের ৪০ লাখ এবং উন্নয়ন তহবিলের ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে ধরা পড়েছে।