
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দিনে দুপুরে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার পৌর ১২নং ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত জাহানারা বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল মোল্লার স্ত্রী। তবে ঠিক কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। তাকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে এক প্রতিবেশী কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে বিছানার উপর জাহানারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করা মেঘনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির পাশেই থাকা আমার বোনকে বিকাল ৪টার দিকে এসে গবাদি পশুগুলোকে পানি খাইয়ে যেতে বলেছিলাম। তখন আমার বোন এসে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে গলাকাটা অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, জাহানারা বেগমের ছেলে রাজধানী ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারসহ ঢাকাতেই থা?কেন। বাড়ির ভাড়াটিয়া লিটন নামে এক ভ্যান চালক ও তার স্ত্রী নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করতেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কোনো নেশাগ্রস্ত লোক চুরি করতে এসে দেখে ফেলায় এঘটনা ঘটিয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।