বাংলাদেশের নাটকের ও সিনেমার অত্যন্ত গুণী একজন অভিনেতা রাজশাহীর সন্তান আরমান পারভেজ মুরাদ। ‘রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘ’তে মঞ্চে অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি ৯ বছর। পাশাপাশি ‘রাজশাহী আবৃত্তি পরিষদে’র সঙ্গে সেই ১৯৮৯ সাল থেকে এখনও সম্পৃক্ত আছেন তিনি। রাজশাহীতে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘বিচ্ছু’, ‘শাস্তি’, ‘অবরুদ্ধ ইতিহাস’, ‘একটি অবাস্তব গল্প’ নাটকে। এসব নাটকে মুরাদের অভিনয় ভীষণ প্রশংসিত হয়। একুশে টিভিতে প্রচারিত সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মণ্ডের পরিচালনায় প্রথম টিভি নাটক ‘নীশিতে নোঙ্গর’ নাটকে অভিনয় করেও প্রথম আলোচনায় আসেন। তবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় অভিনয় করে তিনি সবার দৃষ্টিতে আসেন। এরপর থেকে অভিনয়ের দুনিয়ায় তিনি একটু একটু করে ব্যস্ত হতে শুরু করেন। দেশের অনেক গুণী নাট্যনির্মাতার নির্দেশনায় বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ‘ব্যাচেলরে’র পর আরও বেশকিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ঘানি’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘খেলাঘর’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘রাবেয়া’, ‘শান’, ‘নিয়তি’ ইত্যাদি। আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে সর্বশেষ মুরাদকে ‘সদরঘাটের টাইগার’ ও ‘ইনফিনিটি টুতে কাজ করতে দেখা যায়। এই দুটোতে কাজ করার পর মুরাদ দেড় বছরের জন্য মালয়েশিয়াতে চলে যান। মালয়েশিয়ার একটি আউট সোর্সিং কোম্পানির ‘ডিরেক্টর ব্যাণ্ডিং অ্যা- মার্কেটিং’ হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশি একটি কোম্পানির সঙ্গে। কিছুদিন আগেই তিনি চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে আবারও অভিনয়ে ব্যস্ত হতে চাইছেন আরমান পারভেজ মুরাদ। মুরাদ বলেন, ‘অভিনয় করতেই আসলে বেশি ভালোলাগে। ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। হোক তা নাটকে কিংবা সিনেমায়। তবে মাঝে মাঝে জীবনের প্রয়োজনেই বিরতি নিতে হয়। সেই বিরতিটা নিয়েই মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এনার্জি নিয়ে ফিরেছি। এখন আবার অভিনয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলতে চাইছি। আশা করছি আবারও নাটক সিনেমায় কাজে ব্যস্ত হয়ে যাব। আমার বিশ্বাস আমাকে নিয়ে যারা নিয়মিত কাজ করতেন তারা আবার আমাকে চরিত্রানুযায়ী তাদের কাজে আহ্বান করবেন। আবার নতুন অনেক মেধাবী পরিচালক আছেন তাদের সঙ্গেও কাজ করতে চাই আমি।’ রাজশাহীর প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ও প্রয়াত শাহেরা বেগম দম্পতির ছেলে মুরাদ। তার জন্মদিন ৬ নভেম্বর। তার মেজ ভাই আকরাম পারভেজ দেশের খ্যাতনামা একজন ফুটবলার। ছোট ভাই ইমরান পারভেজ একজন ক্রিকেটার। মুরাদের স্ত্রী মেরিনা নাসরীন।