ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মুগ্ধতা ছড়ালেন স্বর্ণলতা

মুগ্ধতা ছড়ালেন স্বর্ণলতা

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী স্বর্ণলতা দেবনাথ। তারকাখ্যাতি পাওয়ার কথা যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে দীপ্ত টিভিতে গত বছর প্রচার শেষ হওয়া কায়সার আহমেদ পরিচালিত ‘বকুলপুর সিজন টু’ ধারাবাহিকের কথাই বিশেষভাবে বলতে হয়। কারণ এই ধারাবাহিকে নিগার চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন স্বর্ণলতা। শুধু দেশের দর্শকেরই নয়। দেশের বাইরে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও মন জয় করে নিয়েছিলেন স্বর্ণলতা দেবনাথ। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই স্বর্ণলতা সময় সুযোগ পেলে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই সুবাধে তিনি বিশেষত নিগার চরিত্রের জন্য দেশের বাইরেও দর্শকের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছিলেন। তবে স্বর্ণলতার স্বপ্ন ছিল ইউরোপ সফরে যাবার। আর সেই স্বপ্ন যেন এবার সত্যি সত্যিই পূরণ হলো।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিমন্ত্রণে গত জুন মাসে ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন স্বর্ণলতা। ইউরোপের পাঁচটি দেশের মধ্যে এরইমধ্যে চারটি দেশে স্বর্ণলতা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করেছেন। এরইমধ্যে তিনি গত ২২ জুন ফ্রান্সের প্যারিসে, ২৯ জুন বেলজিয়ামে, ৫ জুলাই সুইজারল্যাণ্ডে এবং ৬ জুলাই ইতালীতে বৈশাখী উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। সর্বশেষ আগামীকাল ১৩ জুলাই স্বর্ণলতা স্পেন-এ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবে উপস্থিত থাকবেন। ইউরোপ সফরে স্বর্ণলতার উপর আয়োজকরা ভীষণ খুশি। কারণ স্বর্ণলতা মূলত পেশায় একজন অভিনেত্রী। কিন্তু তার উপর এই সফরে দায়িত্ব ছিল প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করা। যদিও স্বর্ণলতা অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাও করেন এখন মাঝে মাঝে। কিছুদিন আগে রাজধানীর রেডিসনে একটি দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন স্বর্ণলতা। আবার ‘সম্পূর্ণা বাংলাদেশ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানেও তিনি নিজেও উপস্থাপনা করে প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন। উপস্থাপনায় তার অভিজ্ঞতা যে খুউব কম, এমনটিও নয়। ইউরোপ সফর এবং দেশে দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থাপনা প্রসঙ্গে স্বর্ণলতা দেবনাথ বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল কোনো একদিন ইউরোপ ঘুরে বেড়াবো। সেই স্বপ্ন আমার সত্যি হয়ে উঠলো। আমার কাছে এখনো মনে হচ্ছে যে আমি একটা ঘোরের মধ্যে আছি। ইউরোপের প্রতিটি দেশ এতো সুন্দর, এতো পরিপাটি যা মন ভরিয়ে দেয় প্রতিটি মুহূর্তে। যতোই ঘুরে বেড়াচ্ছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি। মাঝে মাঝে খুউব মন খারাপ হয়, কারণ সঙ্গে মা থাকলে আরও ভালো লাগতো, বাবাকে খুউব মিস করছি। সুব্রত থাকলে হয়তো অনেক কিছুই এখানে আমার জন্য আরো সহজ হয়ে যেতো, চিন্তামুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করতে পারতাম। তারপরও এখানে যারাই আছেন সবাই ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। আমার উপর অর্পিত দায়িত্বটুকু আমি শতভাগ মন দিয়ে পালন করার চেষ্টা করেছি। এখানে এসেও প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই বোনদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তাতে একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি ধন্য। এই ভালোবাসার কোনোই প্রতিদান হয় না আসলে। শুধু এতোটুকুই বুঝি যে আমাকে আরও ভালো ভালো নাটকে কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত