বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দ্রুত দেশে ফিরে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কখন দেশে ফিরবেন সেটি বিবেচনায় নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন খালেদা জিয়া।
যুবদলের যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদে এ দোয়া মাহফিল হয়।
এ সময় ডা. জাহিদ জানান, খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ আছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিসহ তিন নাতনিকে নিয়ে তিনি পুরো পারিবারিক আবহে সময় কাটাচ্ছেন।
তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় উল্লেখ করেন, স্বাভাবিকভাবে মানুষ যখন তার নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে থাকেন, তখন মানসিক দৃঢ়তার কারণেই অনেকটা প্রফুল্ল থাকেন। চিকিৎসকসহ সবার নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি (বেগম জিয়া) আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ আছেন। তার শারীরিক অবস্থাও অনেক স্থিতিশীল।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন। আমরা সবাই বাংলাদেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় এই নেত্রীর জন্য দোয়া করি। তিনি (বিএনপি’র চেয়ারপারসন) আপনাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা যে দিকে যাচ্ছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি মানসিকভাবে আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকতে চান। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি আগেও যেমন আপসহীন ছিলেন, তেমনি এখনো মনে করেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, মানুষ একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ পাবে। দেশের মালিক জনগণ, তাই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। সে লক্ষ্যেই খালেদা জিয়া কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া দেশে ফেরার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব উল্লেখ করে এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবারও তিনি আমাদের বলেছিলেন চলো আমরা দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাই। দেশই আমাদের জন্য ভালো। দেশনেত্রী দেশে ফেরার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি দীর্ঘদিন স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন। তার বেশ কিছু পরীক্ষা আমরা করিয়েছি, যেগুলো বাংলাদেশে সম্ভব হয়নি। সেগুলো তারা (লন্ডন ক্লিনিক) করিয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি। সেগুলো পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত হবে, তিনি কত দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।
এ মাহফিলে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করেছেন। বর্তমানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, তাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। আমরা খুবই আশাবাদী, হয়ত মা-ছেলে একসঙ্গে না গেলেও পরিস্থিতিই বলে দেবে তিনি কখন দেশে ফিরে যাবেন।
যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।