ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জাতীয় শহিদ সেনা দিবস আজ

‘উদ্ঘাটিত হচ্ছে নেপথ্য সত্য’

‘উদ্ঘাটিত হচ্ছে নেপথ্য সত্য’

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য উদ্ঘাটনে কমিশন ‘সুশৃঙ্খল’ পদ্ধতিতে কাজ করছে। এ কথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমান। অন্তর্বর্তী সরকার তৎকালীন আধাসামরিক বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে ২০০৯ সালের হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করেছে। এর লক্ষ্য হত্যাকাণ্ডের পেছনের সত্য উদ্ঘাটন করা। ফজলুর রহমান বলেন, ‘১৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করা জটিল কাজ, তবে কমিশন ‘সুশৃঙ্খল’ পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে’। বিডিআর বিদ্রোহের বেশ কয়েক বছর আগে আধাসামরিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নেতৃত্ব দেয়া অবসরপ্রাপ্ত এ জেনারেল আরো বলেন, কমিশন রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের পাঁচটি প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর দৃষ্টি রেখে যাবতীয় প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ধরন উদ্ঘাটন, বিডিআরে ডেপুটেশনে কর্মরত ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত এ ঘটনার প্রকৃত অপরাধী, সহযোগী, ষড়যন্ত্রকারী, প্রমাণ ধ্বংসকারী এবং উস্কানিদাতাদের চিহ্নিতকরণ। রহমান বলেন, কমিশন ঘটনার সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য দেশি-বিদেশি উভয় কারণই খতিয়ে দেখবে এবং এ হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করবে। তিনি আরো বলেন, ‘কমিশনকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তার কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত আমরা ৪১ কার্যদিবসে ৩৭ জনের সাক্ষ্য রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছি’।

পুনঃতদন্ত প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, কমিশনের সামনে এখন পর্যন্ত যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, দুজন মেজর জেনারেল, পাঁচজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, চারজন কর্নেল, চারজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, সাতজন মেজর, দুজন ক্যাপ্টেন, সাতজন বিডিআর সৈনিক এবং বিদ্রোহে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের তিনজন সদস্য। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর একজন পুলিশ সদস্য ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপকসহ সাবেক সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে এ স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়। ফজলুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করার আশা করছি, তবে প্রয়োজন হলে আমরা হয়তো আরও কিছু অতিরিক্ত সময় নিতে পারি’। উল্লেখ্য, বিদ্রোহের পরপরই আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের ব্যাপক পুনর্গঠন করা হয়। পোশাক এবং লোগো পরিবর্তনসহ বিডিআরের নাম পাল্টে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’ রাখা হয়। আগের তদন্তে বিদ্যমান দণ্ডবিধি আইনের অধীনে বিশেষ দায়রা আদালতে বেশ কয়েকজন সাবেক বিডিআর কর্মীর বিচার করা হয়েছিল এবং সীমান্ত বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য তৎকালীন আইন অনুযায়ী তুলনামূলকভাবে ছোটখাটো অপরাধীদের বিচার বিডিআর আদালতে করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত