ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পদযাত্রায় পুলিশি বাধা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি ঘিরে ঢাকায় উত্তেজনা

* মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ; জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ * রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসায় হাসনাত আব্দুল্লাহ * আ.লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি ঘিরে ঢাকায় উত্তেজনা

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে আওয়ামী লীগ দোসসরা। সম্প্রতি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা করেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। শিক্ষাভবনের সামনে পৌঁছালে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের দিকে এগুতে পারেনি। পরে রাস্তায় বসে স্লোগান দেন। গত রোববারও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথমদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। তার নেতিবাচক মন্তব্যের জেরে পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল। এরপর দ্রুতই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় সাখাওয়াত হোসেনকে। আর তার জায়গায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করছেন গণপদযাত্রার অংশগ্রহণকারীরা। এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে গণপদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, যে সিস্টেম ধর্ষক পালে, সেই সিস্টেম গুঁড়িয়ে দাও, জাগো মাতা, কন্যা, ভগ্নি জায়া; স্টেপ ডাউন হোম অ্যাডভাইজর জাহাঙ্গীর’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারী থেকে নারীতে বিদ্রোহ ছুঁয়ে দে, পুরুষের ক্ষমতা ভেঙে হোক সমতা’ ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, জাহাঙ্গীর জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার এবং সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তবে এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষা ভবনের সামনে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী তিলোত্তমা ইতি বলেন, পুলিশ আমাদের কেন বাধা দিচ্ছে! তারা তো ধর্ষকদের, ডাকাতদের নিবৃত্ত করতে পারছেন না। আমাদের আপনারা থামাতে পারবেন না। আমাদের হাত থেকে এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাঁচতে পারবেন না। বাধা দেয়ার সময় পুলিশ নারী আন্দোলনকারীদের গায়ে হাত তুলেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ ফোর্সে একটা নারী পুলিশ নেই! অথচ ব্যানারভর্তি মেয়ে আমরা। এটা নারীদের আন্দোলন। এই পুরুষ পুলিশরাই আমাদের গায়ে হাত তুলেছে। আমরা নিন্দা জানাই। পদযাত্রা শুরুর আগে শহিদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সীমা আক্তার বলেন, আন্দোলনে আমরা নারীরা অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু আন্দোলনের পর নারীদের বিভিন্নভাবে মকারি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের অনিরাপত্তা ছিল। কিন্তু এখনও কেন আমরা অনিরাপদ? আমাদের এখন রাস্তায় হাঁটতে ভয় লাগে। নিজের ক্যাম্পাসেও অনিরাপদ বোধ করছি। এই রাষ্ট্র আমরা কখনও চাইনি। সীমা বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলে এই ইন্টেরিম সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই আমরা তার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আর দায়সারা কোনো কথা শুনতে চাই না। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের সমাজ নিরাপদ করুন। কারণ এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জুলাই আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য। তবে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির বৈঠক শেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক দাবি করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো, সেটা কখনও কোনো মিডিয়া বলেনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরও জোরদার হবে। পদত্যাগ তো পদত্যাগ। অনেকে তো আমার জানাজাও পড়ে ফেলেছে। এর আগে গত রোববার মধ্যরাতে সারা দেশে ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সুশীলতার দিন শেষ, বিচার চায় বাংলাদেশ, এক দুই তিন চার জাহাঙ্গীর গদি ছাড়, জুলাই রক্তের দাম চাই নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, জুলাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’সহ নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাবি শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, দেশে চাঁদাবাজরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থী নুরুল গণি ছগীর বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- আপনাদের পুলিশ ও র‍্যাব দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে না পারেন আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আমরা আজকের পর থেকে দেশে একটা ছিনতাই ধর্ষণ হতে দেবো না। শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা দেশে হত্যা, ছিনতাই, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী ঘাস কাটেন?

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ চলছে, অন্যদিকে গত রোববার দিবাগত রাত ৩টায় নিজের বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন উঠেছে, গভীর রাতে কেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সংবাদ সম্মেলন ডাকতে হলো? সকালে ডাকলে কী সমস্যা হতো? কেউ কেউ বলছেন, গভীর রাতের সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তো গতানুগতিক কথাই বলেছেন। এটাকে কেন জরুরি সংবাদ সম্মেলন বলা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই সংবাদ সম্মেলন করেন তার পদত্যাগের দাবি ওঠার মধ্যে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি সংবাদ সম্মেলনের পরপরই গাড়িতে চড়ে তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে, ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি। কয়েকজন সাংবাদিক লাইভে আছেন বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হাসনাত। তাকে উপদেষ্টার বাসভবনের ফটকের সামনে দেখা গেলেও তিনি বাসার ভেতরে প্রবেশ করেননি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল কার্যক্রম আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজ থেকে যেন কোথাও কোনো অপরাধ না ঘটে, তারা সে ব্যবস্থা নেবে। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এই নির্দেশনা কার্যকর করতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও উন্নত হবে। অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করা হয়েছিল, তবে ১৬ আগস্ট সাখাওয়াত হোসেনকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করা হয় জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে। নতুন সরকার যেসব ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এবং যেসব পরিস্থিতি উদ্বেগের, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম মনে করা হয় আইনশৃঙ্খলাকে। মানুষ এখন ছিনতাই ও ডাকাতির আতঙ্কের মুখে রয়েছেন। ভোরে ও রাতে অনেকে বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। দিনের বেলা বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটছে। কয়েক দিনে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন ধরেই দেশের কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল সারা দেশে নারীদের নিরাপত্তা, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান ও অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ ছিল, তবে জরুরি পরিষেবার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত কয়েক দিন দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে তিনি উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন দিয়েছিল, রক্ত ঝরিয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার মধ্যে অন্যতম ছিল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। একের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম সামনে এলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।

গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমাদের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষার সরকার গঠিত হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, আমার মা-বোনেরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত