ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই প্রস্তুতি সারছে এনসিপি

ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই প্রস্তুতি সারছে এনসিপি

আত্মপ্রকাশ হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। আত্মপ্রকাশের পর জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে থাকা তরুণ নেতারা এখন দলের সাংগঠনিক কাঠামো, স্লোগান, ঘোষণাপত্র এবং গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই ভোটের প্রস্তুতি নেবে দলটি। এরই মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার ভোররাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সূত্রমতে, জনসমর্থন আদায়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান নেবে। ভারতীয় ‘আধিপত্যবাদ’বিরোধী স্বরও চড়া রাখবে। অব্যাহত রাখবে আওয়ামী লীগের প্রতি অনমনীয়তার নীতি। এদিকে, ডান, বাম, শিবির, কওমিসহ বিভিন্ন ধারা থেকে আসা তরুণ ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত এনসিপি নিজেদের মধ্যপন্থি বললেও মধ্য ডানপন্থি আদর্শ ধারণ করবেন বলে জানা গেছে। পরিচিত করাবে বাংলাদেশপন্থি হিসেবে।

জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে সাংগঠনিক বিস্তার ঘটাতে চাইছে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। দলটি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচন লক্ষ্য বললেও চলতি মাসেই জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হলেও চাঁদাবাজি, দখল ও দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়ে গেছে, যার অধিকাংশ অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। নির্বাচনের মাঠে দলটিকে মোকাবিলায় এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান ও জনগণের ক্ষোভকে কাজে লাগাবে। গ্রামগঞ্জে ইস্যুগুলো নিয়ে যাবেন এনসিপির নেতারা।

গত শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতে আত্মপ্রকাশ করা এনসিপি সেদিন রাতেই পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল। যা গতকাল ঘোষণা করেছে।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, সারা দেশে ৫০০ উপজেলা-থানায় রয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক)। এ কমিটির সদস্যরা রাজনীতি করবেন এবং অন্যদের সমন্বয়ে হবে এনসিপির কমিটি। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা আসতে চান, তারাও সুযোগ পাবেন।

যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেছেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত এনসিপিকে ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই আহ্বায়ক কমিটির সভায় দলের বিস্তৃতির পদ্ধতি ও পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা দল হিসেবে এনসিপি সাধারণ মানুষের কাছেই ফিরবে। যাবে তৃণমূলের কাছে। প্রাথমিকভাবে ১৭টি শাখা গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য একটি শাখা রয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্য এনসিপির। এ জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাইজিং কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান বলেন, রাইজিংয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি গঠন শুরু করব। আমাদের লক্ষ্য ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কমিটি গঠন।

সূত্রমতে, রমজানে বড় কোনো কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ভাবছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি। শুধু সব পর্যায়ের কমিটি ইফতার কর্মসূচি করবে। এনসিপির একাধিক নেতা বলেছেন, প্রথম কাজ হবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করা। এ জন্য এক-তৃতীয়াংশ জেলা এবং ২০০ উপজেলায় কমিটি ও কার্যকর কার্যালয় থাকতে হবে। উপজেলায় ২০০ ভোটারের সমর্থন লাগবে। নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরুর আগেই এসব প্রাথমিক কাজ সেরে রাখা হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পাওয়া হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলে একই দায়িত্বে থাকা সারজিস আলমও সাংগঠনিক জেলাগুলোয় কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। হাসনাত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং বাংলাদেশপন্থি ছাত্র-জনতার সঙ্গে অচিরেই দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। আপামর ছাত্র-জনতার দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে চাই।’ সারজিস আলম লিখেছেন, দিন আনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী ভাইয়ের কথা শুনতে চাই।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুললেও এনসিপির দলীয় স্লোগান চূড়ান্ত হয়নি; ঠিক হয়নি কর্মসূচিও। একাধিক নেতা বলেছেন, ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। এটি দলীয় স্লোগান হতে পারে। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ স্লোগানও দেওয়া হয় বারবার।

আত্মপ্রকাশের ঘোষণাপত্রে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, দলের লক্ষ্য হবে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা। তবে কীভাবে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের লক্ষ্য পূরণ হবে, তা স্পষ্ট নয়। দফায় দফায় শাসনব্যবস্থা বদলে ফ্রান্সে এখন চলছে পঞ্চম রিপাবলিক। বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্র অবসানের পর ১৭৯২ সালে দেশটিতে প্রথম প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। পরে আবার রাজতন্ত্র, সামরিক ও স্বৈরশাসন এসেছে। সাংবিধানিক পরিবর্তনও হয়েছে। প্রতিবার পরিবর্তনের সঙ্গে বদল হয়েছে প্রজাতন্ত্রও।

এনসিপি নেতারা বলেছেন, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচনের যে দাবি তোলা হয়েছে, তা দলীয় অবস্থান মাত্র। দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কেউ সমাজতন্ত্র চায়, কেউ অন্য কিছু চায়, কেউ হয়তো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চায়। এ রকম অনেক কিছু থাকে বিভিন্ন দলের ঘোষণাপত্রে। নতুন বন্ধুদের সেকেন্ড রিপাবলিক কখন হয়? রিপাবলিকের লিটার‌্যাল মানে কী? রিপাবলিক হচ্ছে, যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তাদের একটি নমিন্যাল অথবা ‘ইলেক্টেড হেড অব দ্য স্টেট’ থাকবে। সেটা কি আমাদের নেই? যারা গণপরিষদ, সেকেন্ড রিপাবলিক সামনে আনছে, তাতে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র আছে।

এনসিপি নেতারা আগে গণপরিষদ নির্বাচন দাবি করলেও দলটির একাধিক সূত্র বলেছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকলে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হবে। দলের বিস্তার ও গুছিয়ে ওঠার জন্য যা খুবই কম। আবার অতীতে সামরিক শাসনে যেভাবে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে দল গঠন করে প্রার্থী দলে আনা হয়েছে, তা বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়।

এদিকে, এনসিপিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছে বলে কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন। এনসিপি কিংস পার্টি কিনা প্রশ্নও তাদের। যদিও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব প্রশ্ন খণ্ডন করে একাধিকবার বলেছেন, অতীতের কিংস পার্টির মতো কোনো দল ভেঙে, নেতা ভাগিয়ে আনবে না এনসিপি।

সূত্রমতে, সাংগঠনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, এনসিপি একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদের নির্বাচনের জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নতুন দল গণতান্ত্রিক নীতি এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশকে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়নি। আমরা এটিকে একটি নতুন রাজনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল, সেটিই প্রকারান্তরে ওই অভ্যুত্থানের তরুণ নেতাদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) লক্ষ্য হিসেবে উঠে এসেছে বলে অনেকের ধারণা। গত শুক্রবার এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলটির আহবায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের খসড়া ঘোষণাপত্রেও বলা হয়েছিল, ‘আমরা এই ঘোষণা প্রদান করলাম যে ১৯৭২ এবং ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমাদের একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রে সকল ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যের অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে। আমরা এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম যে এই ঘোষণাপত্রকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

এই অবস্থায় এখানে অনেকের প্রশ্ন, এনসিপি কীভাবে তাদের ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য পূরণ করবে? এ ছাড়া ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বিষয়টি জনপরিসরে এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব খুঁজছে।

এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওই খসড়া ঘোষণাপত্রে আরো বলা হয়, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধগুলোর উপযুক্ত বিচার করা হবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম।’

ঘোষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এটি প্রকাশ করতে চেয়েছিল। সে সময়ও এর প্রয়োজন কী এবং এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং প্রথমে এ উদ্যোগের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে জানায়।

অবশ্য পরে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। ১৬ জানুয়ারি এ ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠক হয়।

ঘোষণাপত্র নিয়ে সেদিনের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্র করার প্রয়োজন আছে। তবে মোটাদাগে ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক ও আইনগত ভিত্তি কী হবে, সেটিও স্পষ্ট করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্র-জনতাসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য যত সময় প্রয়োজন, নেওয়া যেতে পারে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ওই দিন বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন করেছি, সাড়ে পাঁচ মাস পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজন আছে কি না? যদি থাকে, সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী; সেটা নির্ধারণ করতে হবে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও সেদিন বলেন, ‘মোটাদাগে বলতে পারি, একটি ঘোষণাপত্র হওয়া প্রয়োজন, সেটি প্রতিটি দল অনুভব করেছে, তবে তাড়াহুড়া করে নয়। তাড়াহুড়া করলে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এ জন্য সময় নিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।’

এ ক্ষেত্রে ওই ঘোষণাপত্রের মতোই এনসিপির সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণ কিভাবে এবং কত দিনে সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত