বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন’।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) শারীরিকভাবে আগের চেয়ে বেশ ভালো আছেন। তাকে ডাক্তাররা বাসায় গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তিনি দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন’। গত সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের একটি হলে জিয়া পরিষদ, ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে চাইলে বইয়ে-কিতাবে (সংবিধানে) যা লিখা আছে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশ চালাতে হবে, আইনানুগ সুশাসনের মাধ্যমে। কোনো অবস্থাতেই কারো নিজস্ব ইচ্ছার প্রতিফলনই বাংলাদেশে ঘটবে না। দেশ চলবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন আর সংবিধানের আলোকে। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, তৎকালীন ৭০-এর গণপরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা যারা ছিলেন তারাই গণপরিষদ করেছিলেন, সংসদ করেছিলেন। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যখন এরশাদের পতন হলো, তখন তো ছাত্রনেতারা বলেননি আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, সুতরাং আমরাই যা বলব তাই হবে। তখন যেই সংবিধান ছিল সেই সংবিধানের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বগ্রহণ করেছিল।
ডা. জাহিদ বলেন, ৫২-কে যেমন অস্বীকার করা যাবে না, ৬২-কে অস্বীকার করতে পারবেন না, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে ভুলতে পারবেন না। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না, ৭৫-এর ৭ নভেম্বরকে অস্বীকার করতে পারবেন না, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে অবমাননা করতে পারবেন না। ঠিক তেমনিভাবে ২৪-এর জুলাই আন্দোলনকেও কেউ অসম্মান করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও স্বৈরাচারের দোসররা দেশে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, মানুষের ওপর অমানবিক জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বাংলার মাটিতে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি তাদের লুষ্ঠিত সম্পদ যাতে বাংলাদেশে ফেরত আনা যায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কয়ছর এম আহমেদ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জোবায়ের বাবু, জিয়া পরিষদ ইউকের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি কাওছার ও আহসান উদ্দিন মনির।