ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নাহিদ হাসান পাপেল নামের একজন। আর রাব্বি ওরফে ‘কবুতর’ রাব্বি এবং মেহেদী হাসান নামের দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ গতকাল মঙ্গলবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাপেলের জবানবন্দি রেকর্ড এবং রাব্বি ও মেহেদীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা আসামি পাপেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ দুই আসামি রাব্বি এবং মেহেদীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। শাহবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাব্বিকে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি থানাধীন সুভচনী এলাকা, মেহেদীকে চাঁনখারপুর এবং পাপেলকে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর আগে গত সোমবার এ মামলায় রিপন নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওইদিন সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন নামের তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গত ১৩ মে দিবাগত রাতে ঢাকার গ্রিনরোড ও রাজাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরের দিন ১৪ মে তাদের কারাগার পাঠানো হয়। ১৭ মে তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে ২৩ মে তাদের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় ১৩ মে রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।