ঢাকা ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা

উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ৭টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব পরিবহন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় চতুর্মুখী এ মোড়ে দুটি বাস, একটি ট্রাক ও পিকআপ এবং কাভার্ডভ্যান একে অপরকে ধাক্কা দেয়।

এতে কয়েকটি পরিবহনের সামনের গ্লাস ভেঙে গেছে এবং কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর জখম হওয়ায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পরিবহনগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন।

বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আহত কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মহাসড়কের ওই এলাকার ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘন কুয়াশায় পিচ্ছিল হয়েছিল। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে ধাক্কা দেয়।

মনিরুজ্জামান বলেন, রংপুর হাইওয়ে অঞ্চলের মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকায় বেশ কিছু ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় দৃষ্টিসীমা অনেক কমে গেছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চালক ও যাত্রী সাধারণকে ধীরে এবং সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল রংপুরের নিম্ন আয়ের ও হতদরিদ্র মানুষগুলো।

রংপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় রংপুরের তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার তীব্রতা আরো দু-তিন দিন থাকতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল জানান, তীব্র শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রংপুর জেলায় হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত