চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় শিব চতুদর্শী মেলার দ্বিতীয় দিনে চন্দ্রনাথ ধামে ওঠার সময় পদদলিত হয়ে তিন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন। গতকাল বুধবার প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত বান্টু লাল দাসের (৫৫) বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়। তিনি উপজেলার উত্তরবুনিয়া ইউনিয়নের ফাসিয়াখালি এলাকার মৃত মাগন দাসের ছেলে। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত নিহত দুই নারীর নামণ্ডপরিচয় জানা যায়নি। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। অন্যজনের বয়স ১৮ বছর।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টায় তিথি (লগ্ন) শুরু হয়েছে, যা আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত চলবে। এ সময়ে ১০-১২ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে চন্দ্রনাথ ধামে। এ তিথিকে ঘিরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রচণ্ড ভিড়ে পদদলিত হয়ে তিনজন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। গতকাল সকাল ১০টায় এক তরুণী পদদলিত হয়ে মারা যান। তার লাশ স্বজনরা নিয়ে যান। পরে দুপুর ১টার দিকে বান্টু লাল দাস ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী পদদলিত হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে। নিহত বান্টু দাসের স্ত্রী লক্ষ্মী বলেন, প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে আমার স্বামী পদদলিত হয়ে মারা গেছেন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রচণ্ড ভিড়ে তিন পুণ্যার্থী মারা যান। তার মধ্যে একজন পুরুষ ও দুজন নারী। একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও দুই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তিন পুণ্যার্থীর মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।