অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রংপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈষম্য আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আরডিআরএস এর বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (করনীতি) সদস্য একেএম বদিউল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (ভ্যাটনীতি) ড. মো. আবদুর রউফ, ঠাকুরগাঁও চেম্বারের সভাপতি আলহাজ শরীফ হোসেন, গাইবান্ধা চেম্বারের পরিচালক আব্দুল লতীফ হক্কানী, লালমনিরহাট চেম্বারের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান বকুল, কুড়িগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক আলী আহমেদ চাঁন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওসার জামান বাবলা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি মামুন ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেশনারী মালিক সমিতি, রংপুর বিভাগীয় সভাপতি মো. রিয়াজ শহিদ শোভন, বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন বিএসসি, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি, সোনাহাট স্থল এর আহ্বায়ক মো. ইফতেখারুল ইসলাম শ্যামা, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাতি মো. সালেকুজ্জামান সালেক, বেরোবির একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম বারী রাজ, ও চেম্বারের সাধারণ সদস্য রশিদুস সুলতান বাবলু।
বক্তারা রংপুর চেম্বারের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আমদানি শুল্ক, মূল্যসংযোজন কর, আয়কর ও অন্যান্য কর সম্পর্কিত বিষয়ে যেসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে তা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে আসন্ন বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে পিছিয়েপড়া রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ বলেন, এবারের বাজেটে জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটবে । রংপুর অঞ্চল খুবই সমৃদ্ধ এখানে নূরল দীন, বেগম রোকেয়া ও আবু সাইদের মতো বীরের জন্ম। কোন অঞ্চলকেই বৈষম্যের বেড়াজালে পড়তে হবে না। সকল এলাকাকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। গত বছর ৪ লাখ ট্যাক্স রিটার্ণ ছিল এবার সাড়ে ১৪ লাখ ট্যাক্স রিটার্ণ অনলাইনে পেয়েছি। ভ্যাট কমানোর বিষয়টি কঠিন হলেও এ বিষয়ে কাজ করা হবে। ব্যবসায়ীদের সারচার্জ বিষয়েও এবার কাজ করা হচ্ছে। সেরা করদাতা ও কর বাহাদুরসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্মান জানানোর বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে জানানো হবে। ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণ ও ট্যাক্স প্রদানের বিষয়টি আরও কাজ করা হবে। এছাড়া তিনি বলেন, ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এটি সহজীকরণ করা হবে। রংপুরের উন্নয়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করা হবে। ১৮ কোটি মানুষের চোখকে ৩৬ লাখ মানুষের চোখ বানাতে হবে। আয়কর ও ভ্যাট নেট আরো বাড়ানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।