নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শামসুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ডিভিশনের আবেদন করলে আদালত সেটা আমলে নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, আইভীকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে শুধু ওই মামলাতেই জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আবেদন করেন। তখন আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তারা ডিভিশনের আবেদনও করেন।
আইভী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, সাবেক মেয়র আইভী ছিলেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার। আমরা আদালতে প্রার্থনা করেছি, তাকে যেন ডিভিশন দেওয়া হয়। আদালত নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আইভী কখনও মাঠে নামেননি। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা মিথ্যা। এসব ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাকে একটি মামলায় কাস্টডি দিয়েছে। বাকি মামলাগুলো তো তাকে কাস্টডি ইস্যু করেনি। যাতে আমাদের জামিন চাওয়ার ব্যাপারে ব্যত্যয় ঘটছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে ভোরে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শহরের দেওভোগ এলাকায় তার নিজ বাসভবন চুনকা কুটির থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা পোশাক কর্মী মিনারুল ইসলাম (৩০) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আইভীকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।