নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন আইভী।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালত এ নির্দেশ দেন। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে করা মোট পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলাসহ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আইভীর আইনজীবী এসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, আইভী আন্দোলনে কখনও মাঠে নামেননি। তবুও তাকে সবগুলো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ্?বাংলা ব্যাংকের সামনে রিকশাচালক তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হকার নাদিম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ মামলা দুটিতেই সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।