বিএনপির দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন না, দূরে ছিলেন তাদের সদস্য করা হলেও, নেতৃত্বে আনা যাবে না। কারণ, বিএনপির নেতৃত্বে আসতে হবে সেইসব মানুষদের, যারা প্রতিকূল অবস্থায় দল ছেড়ে যাননি, আন্দোলনে ছিলেন এবং দলের সঙ্গেই থেকেছেন। এখন সময় এসেছে বিএনপির হিসাব-নিকাশের- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। গতকাল বিকালে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে যারা ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে সুবিধা গ্রহণ করেছে এবং ৫ আগস্টের পর বিএনপির পতাকার নিচে এসে নতুন করে সুবিধা নেওয়ার চিন্তা করছে- তাদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা বা সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, এমন সদস্য নিতে হবে, যাকে দেখে মানুষের বুক গর্বে ভরে যায়। এমন কাউকে সদস্য করা যাবে না, যার জন্য মুখ লুকাতে হয়। যাচাই-বাছাই করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। বিএনপির সদস্য সংগ্রহে কোনো ‘ভাই গ্রুপ’ বা ‘অমুক-তমুক গ্রুপ’ দেখে নয়- সমাজ যাকে সম্মান করে, যাকে সমীহ করে তাকেই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপিতে সদস্য হিসেবে উৎসাহিত করতে হবে। প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অন্যান্য পেশাজীবীদেরও বিএনপির সদস্য হতে উৎসাহিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ ও ১৯৭১ যেমন ভোলা যাবে না, তেমনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরও ভোলা যাবে না। সেই সঙ্গে ১৯৯০ সালের ঘটনাবলীও ভুলে গেলে চলবে না। ৯০-এর ইতিহাস ভুলে গেলে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তেমনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ভুলে গেলে কর্তৃত্ববাদী শাসন আবার ফিরে আসবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন। সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের আট জেলার সব ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।