ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

১১ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস

বললেন আসিফ মাহমুদ
১১ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস

১১ জুলাইকে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। গতকাল শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আয়োজিত ১১ জুলাইয়ের পুলিশি হামলার বর্ষপূর্তিতে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানে ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রক্ত ঝরেছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশ নগ্নভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ে। এর খানিক পরেই কুবির শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন, যা দেশব্যাপী আন্দোলনে অন্যতম রসদ জুগিয়েছে। তাই ১১ জুলাইকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে আশা করি।’ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনটি শিক্ষার্থী পরিবহন বাস উপহারেরও ঘোষণা দেন তিনি। উল্লেখ্য, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ১১ জুলাই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে সেদিন ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশি আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশব্যাপী এ খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। ঢাকাসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরোধের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কার্যত অচল করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। কুবিতে আয়োজিত ১১ জুলাই স্মরণসভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম, জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত