ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেই ম্যাজিস্ট্রেট

ঊর্মির বিচার শুরু

ঊর্মির বিচার শুরু

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঊর্মির বিচার শুরু হলো। আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম। গত ২৬ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ছিল। ওইদিন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত জামিন ও সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি গত বছরের অক্টোবরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে ওএসডি হন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে তার বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওইদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তাপসী তাবাসসুম।

তাপসী ঊর্মি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো. ইসমাইল হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যদিও তার বাড়ি নেত্রকোনায়, তবে তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে বসবাস করছে। মাঝে মাঝে তারা নেত্রকোণা যান। ঊর্মি মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি দুই বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে বড়। তার ছোট ভাই বর্তমানে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত