অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর সব মামলা রহিত হয়েছে। গণমাধ্যমে না হোক সোশ্যাল মিডিয়াতে উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার করা হয়। আমরা কেউ এমন মিথ্যাচারের জন্য মামলা করিনি। প্রতিবাদও করিনি, দেশের মানুষের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’ গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু গ্রেফতার ১৫ জন। যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের ইনসাইড ক্রাইম বা এমেন্ডমেন্ট-এর জন্য মামলা হয়েছে। মামলা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, মামলা করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে আমরা বলে দিয়েছি সাবস্টেনশিয়াল এভিডেন্স না পেলে যেন কাউকে গ্রেফতার করা না হয়।’ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একশ্রেণির মানুষ মামলা করার মধ্যে যদি ব্যবসার প্রবণতা খুঁজে পান, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ যদি এর সঙ্গে শামিল হন, পুলিশ যদি দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে এটি বন্ধ করা যাবে না।’ দেশে সব শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তবে সেই তুলনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করেন তিনি। একাত্তর টিভির দুই সাংবাদিকের জামিনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জানি, গ্রেফতার নিয়ে অনেকের আপত্তি হচ্ছে। আমি যেটুকু জানি, তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকতা করার জন্য হয়নি। তারা জামিন পেতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা যায়। কিন্তু মামলার ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ, মামলা করেছে সাধারণ মানুষ।’ মড. আসিফ নজরুল ছাড়াও অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ প্রমুখ।