টানা পতন থেকে বেরিয়ে অবশেষে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। একই সঙ্গে দেখা দেয় লেনদেন খরা। এমন টানা পতনের পর শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললেও লেনদেনের গতি ফেরেনি। বরং লেনদেন খরা অব্যাহত রয়েছে। ডিএসইতে টানা ১৪ কার্যদিবস তিনশ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন টানা লেনদেন খরা শেয়ারবাজারে আর দেখা যায়নি।
টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ফলে আবারও পতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বদলে যেতে থাকে বাজারের চিত্র। দাম কমার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষে হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৭২৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলিয়ে ডিএসইতে ২২২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির। এছাড়া ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৫৩টির দাম কমেছে এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।