‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে তারুণ্যের উৎসব। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে তারুণ্যের উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে এতে শামিল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সরকারি এ নির্দেশনা উপেক্ষা করায় শাস্তির মুখে পড়েছে দেশের ৭টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও ৮টি অ্যাসোসিয়েশন।
ক্রীড়াঙ্গনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা দিতে বলেছিল। ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সেই কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ৫ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেতো নয়ই, এমন কি গতকাল রোববার পর্যন্ত ৭টি ফেডারেশন ও ৮টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে কোনো সাড়াই দেয়া হয়নি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসব ফেডারেশন ও সংস্থা রীতিমতো ঘুমিয়েই আছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনে করে প্রতিষ্ঠানটির আইনের ধারা-২৩ (গ) অনুসারে এ ধরনের নির্দেশনা পালন করা ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব। তারুণ্যের উৎসবের কর্মপরিকল্পনা জমা না দিয়ে এই ১৫ ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে। যার শাস্তি হতে পারে এসব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া অর্থ ছাড় স্থগিত করা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এক সার্কুলারে অর্থ ছাড়া দেয়া স্থগিত রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অর্থকে।
শাস্তির মুখে পড়তে যাওয়া ৭ ফেডারেশন ও ৮ অ্যাসোসিয়েশন হচ্ছে- বাংলাদেশ গলফ ফেডােরেশন, বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন, বাংলাদেশ শরীরগঠন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্যারম ফেডারেশন, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন, বাংলাদেশ বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন, বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশন, বাংলাদেশ প্যারা আরচারি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বাশআপ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ থ্রোবল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ খিউকুশীন অ্যাসোসিয়েশন।
