অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। প্রায় দশ বছর পর আবারো জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ফিরলেন মামুনুর রশীদ। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়ার্ল্ড লিগ রাউন্ড-২ তে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই খেলোয়াড়। চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বসবে এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্টের। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে হকি ফেডারেশন মামুনকে হেড কোচ, মশিউর রহমান বিপ্লবকে সহকারী ও আলমগীর ইসলামকে ট্রেইনার নিয়োগ দিয়েছে। মামুনকে চূড়ান্ত করার আগে ৮ কোচের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। সাধারণ সম্পাদক কর্নেল রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন কোচের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করা হয়েছে। মামুনকেই আমাদের যোগ্য মনে হয়েছে।’ সাধারণ সম্পাদক, ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য আবু জাফর তপন, হোসেন ইমাম চৌধুরী সান্টা, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় জামাল হায়দারসহ আরো কয়েকজনের সমন্বয়ে একটি প্যানেল ছিল। সেই প্যানেল কোচদের সাক্ষাতকার নেয়ার পর পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মামুনুর রশীদ সাবেক জাতীয় তারকা খেলোয়াড়। দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কোচ হিসেবেও দারুণ সফলতা রয়েছে। মেরিনার্সকে ক্লাব ও লিগ চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। জুনিয়র হকি দলকেও শিরোপা জিতিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। দেশের সেরা কোচ হলেও সিনিয়র দলের কোচ হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে ফেডারেশন তাকে দায়িত্ব দেয়নি। ২০১৫ সালে ওয়াল্ড হকি লিগ রাউন্ড দুইয়ে জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন। মামুনুর রশীদ সিনিয়র জাতীয় হকি দলের কোচ ছিলেন। নয় বছর পর জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে মামুন বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে পারা সব সময় সম্মানের। নয় বছর পর আবার হেড কোচ হলাম। আগে ওয়াল্ড হকি লিগে ছিলাম এবার এএইএফ কাপ। এই আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আগে এবারও সেটাই লক্ষ্য।’ এএইচএফ কাপ উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট। হকি ফেডারেশন অদ্ভুত নিয়মে ৩২ বছরের বেশি বয়স যাদের তাদের এই টেস্টের জন্য ডাকেনি। সেই হিসেবে হকির তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি টেস্ট দেয়ার চিঠি পায়নি। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় চললেও ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত এখনো পরিবর্তন হয়নি। আপনারা কি বয়সের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানেই আছেন? নাকি জিমিকে ডাকবেন? জবাবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগের সিদ্ধান্তই আছে। এ বিষয়ে কোনো আপডেট করতে হলে সভার মাধ্যমে করতে হবে। আমি তো একা কিছু বলতে পারবো না। নির্বাহী কমিটির বা এ সংশ্লিষ্ট কমিটি আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’ ব্যক্তিগতভাবে আপনি কী মনে করেন? এ নিয়ে তো অনেক সমালোচনা হচ্ছে। ‘আমি একা কিছু মনে করলে তো হবে না। সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই হবে’-জবাব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের।