ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ‘হৃদয়’ জুড়ানো সেঞ্চুরি

১১৮ বলের ইনিংসটি ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ‘হৃদয়’ জুড়ানো সেঞ্চুরি

সত্যিকারের পরিণত একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। পরিণত বোধের পরিচয় দিয়ে কেড়েছেন কোটি ভক্তের হৃদয়। ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে দলীয় রান ভক্তদের মন জুড়াতে পারেনি। তবে হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসা সেঞ্চুরিতে ‘হৃদয়’ জুড়িয়েছে সবার। অথচ ইনিংসের শুরুতে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। তখনও পাওয়ারপ্লে শেষ হয়নি। এরমধ্যেই ৩৫ রানে নেই ৫ উইকেট। এ পরিস্থিতিতে সমর্থকদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড খোঁজা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেউ কেউ হয়তো তা শুরুও করেছিলেন।

এরপর ভারতের ওপর দিয়ে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী যা করেছেন, তা অনেকেরই কল্পনার অতীত। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তারা। হৃদয় তো তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। বিপিএল দিয়ে আলোচনায় আসা হৃদয় ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেয়ে যাচ্ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ব্যাটারের ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস আছে, ছিল না সেঞ্চুরি। সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হলো ৬৫ ম্যাচ। ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ৬৬তম ম্যাচে প্রথমবার তিন অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন তিনি। যেকোনো শতকই বিশেষ। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় হৃদয়ের ১০০ রানের ইনিংসটি তার চেয়েও বেশি কিছু, আবার এটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। শতকের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে বেশ কয়েকবার ব্যথায় কুঁকড়েছেন হৃদয়, পারছিলেন না ঠিকমতো দৌড়াতে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। ১১৮ বলের ইনিংসটি ৬ চার ও ২ ছয়ে সাজান তিনি। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে হার্শিত রানার বলে আউট হন তিনি। ১০০-এর আগেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশ হৃদয়ের ইনিংসে ভর করেই মূলত ২০০-এর বৈতরণী পেরিয়েছে। তার ১০০ ও জাকের আলীর ৬৮ রানে ভর করে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত