গালাতাসারাই ক্লাব কর্তৃপক্ষ তো আইনিব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে। এর আগে ফুটবল সংক্রান্ত শাস্তিও পেতে হলো জোসে মরিনহোকে। ফেনারবাচের কোচকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন। পাশাপাশি তাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার জানায়, ১৬ লাখ ১৭ হাজার লিরা (প্রায় ৪৪ হাজার ডলার) জরিমানা গুণতে হবে মরিনহোকে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেডারেশন উল্লেখ করেছে, তুর্কি রেফারির প্রতি ‘অপমানজনক ও আক্রমণাত্মক’ মন্তব্যের জন্য এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। মরিনিয়োর মন্তব্য খেলাধুলার নৈতিকতা ভঙ্গ করেছে, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা উসকে দিয়েছে এবং সমর্থকদের উত্তেজিত করে তুলতে পারে বলে মনে করে ফেডারেশন। গত সোমবার তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের লড়াই শেষ হয় ০-০ ড্রয়ে। দুই ক্লাবের অনুরোধে এই ম্যাচে বিদেশি রেফারি আনা হয়। ম্যাচটি পরিচালনা করেন স্লোভেনিয়ার রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো বলেন, রেফারিদের কক্ষে গিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। ‘ম্যাচ শেষে রেফারিদের ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলাম আমি। চতুর্থ রেফারিও সেখানে ছিল, যিনি তুরস্কের রেফারি। মূল রেফারিকে (ভিনচিচ) আমি বলেছি, ‘এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। কারণ বড় একটি ম্যাচে আপনি এসেছেন এবং দায়িত্ব পালন করেছেন।’ এরপর চতুর্থ রেফারির দিকে ঘুরে বলেছি, ‘এই ম্যাচে আপনি রেফারি থাকলে বিপর্যয় হয়ে যেত।’ তাকে যখন এটা বলেছি, আমি আসলে (তুরস্কের) সবাইকেই বুঝিয়েছি, তাদের সহজাত প্রবণতা।’
ম্যাচের শুরুর দিকে ফেনারবাচের ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ইউসুফ আকচিচেকের একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গালাতাসারাইয়ের ডাগআউটের ফুটবলারদের বেশ উত্তেজিত দেখা গিয়েছিল তখন। সেই ঘটনায় আকচিচেককে হলুদ কার্ড না দেখানোয় রেফারি ভিনচিচের প্রশংসা করেন মরিনহো। ‘এই ঘটনায় রেফারিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি আমি। কারণ, এখানে যদি তুরস্কের কোনো রেফারি থাকত, প্রথম মিনিটেই ওদের এক ফুটবলার যেভাবে ডাইভ দিয়েছে, ওদের বেঞ্চের ফুটবলাররা বাচ্চা ছেলেটির (আকচিচেক) ওপর যেভাবে বানরের মতো লাফালাফি করছিৃ তুর্কি রেফারি থাকলে এসব দেখেই হলুদ কার্ড দিয়ে দিত এক মিনিটেই এবং পাঁচ মিনিট পর তার বদলি কাউকে নামাতে হতো আমাকে।’
