ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তান সফরে বিসিবিকে সবুজ সংকেত সরকারের

পাকিস্তান সফরে বিসিবিকে সবুজ সংকেত সরকারের

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পরই পাকিস্তানে যাওয়ার কথা শান্ত-মিরাজদের। কিন্তু ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর আটকে যায়। যুদ্ধ পরিস্থিতি শীতল হওয়ার পর বাংলাদেশকে নতুন সূচি পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সরকারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ আপাতত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল বিসিবি। সূত্র জানিয়েছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক মতই দিয়েছে। এখন বাকিটা বিসিবির সিদ্ধান্ত।

এ বিষয়ে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছি। যদিও আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনও হাতে পাইনি, তবে আশা করছি খুব শিগগিরই তা পাওয়া যাবে। যতদূর জানি, সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আমরা পাকিস্তান সফরে যেতে পারব।’ বিসিবি ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকারি চিঠি পাওয়ার পর আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা শুরু করব। কারণ আমরা জানতে পেরেছি, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কয়েকজন যেতে কিছুটা অনিচ্ছুক। তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কাউকেই জোর করা হবে না।’

একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে সফরের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর ও পরামর্শ নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। হাইকমিশনের কাছ থেকে সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াই নাকি মিলেছে। তা ছাড়া ১৭ মে থেকে পাকিস্তানে পিএসএল শুরু হচ্ছে, ওদিকে ভারতেও একই দিনে শুরু হয়ে যাচ্ছে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল। যুদ্ধ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া দুই দেশেই যেহেতু খেলা মাঠে ফিরছে, বাংলাদেশ দলের সেখানে খেলতে যেতে কোনো সমস্যা দেখছে না পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘সফরটি হওয়ার ভালো সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছে। সেভাবেই আমরা আলোচনা করছি। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরও কিছু দিক ভালোভাবে বুঝে দেখতে চাই, যেগুলো নিশ্চিত হলে আমাদের কোচ–খেলোয়াড়েরা স্বস্তি নিয়ে খেলতে যেতে পারবেন।’ এসব বিষয়ে বিসিবি প্রধান বিস্তারিত না বললেও জানা গেছে, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, বিশেষ করে কোচিং স্টাফের বিদেশি সদস্যদের মনোভাব জানা এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। সফরের আগে এ বিষয়ে দুই বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

আগের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল শারজায় আমিরাতের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ শেষে। ২৫ মে শুরু হয়ে সিরিজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩ জুন। তবে এখন সিরিজটি হলেও সূচি বদলাবে। পিসিবি এরই মধ্যে বিসিবিকে একটি পরিবর্তিত সূচি প্রস্তাব করেছে। ১৩ মে বিসিবিকে পাঠানো পরিবর্তিত সূচিতে ফয়সালাবাদে সিরিজের প্রথম দুটি টি–টোয়েন্টি ২৫ ও ২৭ মের পরিবর্তে ২৭ ও ২৮ মে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ফয়সালাবাদ থেকে ২৯ মে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দল লাহোরে যাবে। সিরিজের শেষ তিনটি ম্যাচ লাহোরে, সম্ভাব্য তারিখ ৩০ মে এবং ১ ও ২ জুন। বিসিবি সভাপতি অবশ্য জানিয়েছেন, পরিবর্তিত সূচি নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যে নতুন করে আলোচনা হতে পারে।

তবে যেহেতু সামনে ঈদুল আজহা, যেটির সম্ভাব্য তারিখ ৬ বা ৭ জুন; দুই বোর্ডই চায় সিরিজটি ৫ জুনের মধ্যে শেষ করতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত