জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহত শহীদ ও যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’— এই স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। আর সভাপতিত্ব করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার শহীদ ছাত্রদল নেতা নুরুল আমিনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও জেলার ৪৭ জন আহত যোদ্ধাকে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, "জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজে কোনো গাফিলতি হলে, আমরা আবারও আবু সাঈদের মত বুক চিতিয়ে, মীর মুগ্ধের মত পানি হাতে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে রাজপথে নামবো।"
তিনি আরও বলেন, "আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের ত্যাগের মূল্য কখনো শোধ করা সম্ভব নয়। দেশের জন্য এমন আত্মত্যাগ করার সাহস সবার থাকে না। তাই ফাউন্ডেশন সবসময় শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে।"
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, "কক্সবাজারের আহত ও শহীদ পরিবারগুলো আজও নানা সংকটে দিন কাটাচ্ছে। প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। রমজানের শুভেচ্ছা উপহারসহ বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে।"
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় ৪ জন শহীদ ও ৮২ জন আহত হন। এর মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জেলার আরও ৩ শহীদ পরিবারের প্রতিটিকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।