ঠাকুরগাঁওয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালত চত্বরে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।
আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ ঘটনার পর বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম ওই স্কুলশিক্ষককে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ঠাকুরগাঁওসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা আশস্ত করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে অপরাধীর।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিক্ষক মানিকের কাছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এমনি অভিযোগ করেন। পরে বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আটক করে ভুল্লী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।