সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার হোটেল কর্মচারী আরাফাত (৩৬) ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনায় নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো, রায়গঞ্জ উপজেলার মন্ডলপাড়ার ফিরোজ (২২) ও সলঙ্গা থানার তারুটিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের জুলেখা খাতুন (২১)। চুরির ভাগের টাকার জন্য তাকে খুন করা হয়েছে বলে আদালতকে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা।
ওসি (ডিবি) একরামুল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত হোটেল কর্মচারী আরাফাত ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিপুর (পাকিস্তান পাড়া) গ্রামের মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। সে সলঙ্গা থানার রাধানগর গ্রামের শাপলাকে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো এবং ওই গোলচত্বর এলাকায় হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। সে ২২ মে দুপুরে প্রতিদিনের মতো তার কর্মস্থলে কাজ করতে যায় এবং মধ্যে রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় তাকে বহু খোঁজাখুজি করা হয়। পরদিনে সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে তার স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিশেষ তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে ডিবি পুলিশের দক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। গঠিত কমিটি ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার তদন্ত শুরু করেন। শনিবার রাতে হাটিকুমরুল এলাকা থেকে প্রথমে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জুলেখাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জবানবন্দিতে তারা বলেছে, আগের একটি চুরির ভাগের ৫ হাজার টাকা আরাফাতের কাছে পাওনা ছিল এবং ২২ মে রাতে উল্লিখিত এলাকার সওজ কার্যালয়ের পাইপ চুরি করতে গেলে সেখানে আরো ২জন সহযোগীসহ ফিরোজ উপস্থিত হয়। সেখানে ওই নারীকে ২ হাজার টাকার চুক্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে আরাফাতের কাছে পাওনা টাকা চায় ফিরোজ। এতে ২ জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে আরাফাত ফিরোজকে থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজ ও জুলেখা ইট দিয়ে আরাফাতের মাথা ও মুখ থেতলে হত্যা করে।
রোববার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।