অনলাইন সংস্করণ
১৮:১৮, ২৯ মে, ২০২৫
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশ একটি জলজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ। এই সম্ভাবনাময় খাতকে কাজে লাগিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন গবেষণামূলক শিক্ষা, প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।”
বৃহস্পতিবার সকালে ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি বিভাগের ফিশারিজ ক্লাব আয়োজিত “মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল সার্টিফিকেট দেওয়ার কারখানা নয়, এটি হতে হবে উদ্ভাবনের কেন্দ্রস্থল। ফিশারিজ ক্লাবের এই উদ্যোগ তারই প্রতিফলন। শিক্ষার্থীদের এই ধরনের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তাদেরকে ভবিষ্যতের গবেষক, উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তারা যেন দেশের মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে – এজন্য একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি নদী উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা, রাবিপ্রবি প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ও সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমা।
সেমিনারের একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল “ফিশারিজ আইডিয়া কন্টেস্ট”, যেখানে শিক্ষার্থীরা পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও নতুন উদ্যোক্তা ভাবনার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া তাবাসসুম কণা।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, এমন আয়োজন তাদের আগ্রহ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
