চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে পৌরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিগত এক মাস ধরে রেলওয়ে সম্পত্তির বিশাল অংশজুড়ে টনকে টন আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দায়িত্বে থাকা জমাদার অপু দাসের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার, কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া এবং উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাহামিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকা পরিদর্শনে আসে। সাগরিকা ট্রেনযোগে আগত প্রতিনিধি দল রেলওয়ে এলাকার বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ডা. তাহামিনা ইয়াসমিন ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী সার্জন ডা. জামাল হোসেন, বিভাগীয় কার্যালয়ের জিয়াউর রহমান, সোহেল হোসেনসহ আরও দুইজন। তারা চাঁদপুর রেলওয়ে অফিসার রেস্ট হাউজে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশাপাশি স্টেশন মাস্টার, টিআর বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সচেতন নাগরিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অভিযোগ করেন, অবসরে যাওয়া জমাদার রতন হরিজনের ছেলে অপু দাস স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ফেরদৌস তাজকে সরিয়ে জমাদারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি কর্মীদের গালিগালাজ, অপমান এবং উৎকোচ চাওয়ার মতো আচরণ করে আসছেন।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা একবাক্যে জানান, অপু দাস দায়িত্বে থাকলে তারা কাজ করবেন না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন, শোহেবুল শিকদার, টিআর ও বিদ্যুৎ বিভাগের সদস্যসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তারাও অপু দাসের অপসারণের দাবি জানান।
তদন্ত প্রসঙ্গে বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাহামিনা ইয়াসমিন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চাঁদপুর এসেছি। তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মিডিয়াকে জানানো হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়া অপু দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি চাকরির দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে শহরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত ব্যবসায় ব্যস্ত ছিলেন এবং অফিস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই এ পর্যন্ত টিকে ছিলেন।